শুভেন্দু অধিকারীকে ফুটো মস্তান বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল

29th December 2020 6:54 pm হুগলী
শুভেন্দু অধিকারীকে ফুটো মস্তান বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : শুভেন্দু অধিকারীর নয়া স্লোগান, "কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে"। তাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি ছেড়ে সদ‍্য তৃনমুলে আসা সুজাতা মন্ডল খাঁ। মঙ্গলবার বিকালে ধনিয়াখালির শিবাইচন্ডীতে এক জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, অসীমা পাত্র, সুজাতা মন্ডল খাঁ। যিনি নিজের ঘর বাঁচাতে পারেন না, সে কি করে বিজেপির ঘর বাঁচাবে বলে মন্ত‍্যব করেন সুজাতা। তিনি আরো বলেন, তার ই ঘরে রয়েছে তৃনমুলের সাংসদ শিশির অধিকারী, দিবেন্দ‍্যু অধিকারী সহ একাধিক তৃনমুল নেতা। কত বড়ো ফুটো মস্তান দেখুন বিজেপি ঘরে ঘরে বলছে, অথচ ওনার ঘরে ই তৃনমূলের লোক ভরে রয়েছে। নিজের ঘরটাই বিজেপি করে সামলাতে পারলেন না, পরের ঘর কি করে সামলাবেন। স্বামীর প্রসঙ্গে উঠতেই তিনি আবেগপ্রবন হয়ে বলেন, আমি তো কারোর সংসার ভাঙতে চাইনি। তার পরিবারের এটাই শিক্ষা যে নারীকে নিজের সম্মানে বাঁচতে না দেওয়া। আমি আজ ও সংসার করতে চাই। তাই আমি ডির্ভোসকে মেনেও নিই নি। মঞ্চে তিনতালাক বিল প্রসঙ্গে বলেন, তখন মোদীর তিনতালাক বিল নিয়ে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু আজকে দেখলাম সেই বিজেপি সাংসদ আমাকে তালাক দিয়ে দিল। এখন পর্যন্ত সিঁথিতে সিন্দুর পড়ে রয়েছি। তাই বিজেপি যা মুখে বলে, বাস্তবে তা করে না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।